গল্পঃ #পাবনার_পাগলি
পর্বঃ ১১
.
লিখাঃ অর্দ্র
.
বুকের উপর থেকে লেপটা সরিয়ে আতকে উঠলাম । ও মা গো আমারে মাইরা ফালাইছে । বুকের বাম পাশে অনেক জায়াগা জুরে কেটেছে । এতক্ষণে বুকে যন্ত্রণা করতে শুরু করেছে ।
-ওই ডাইনির বাচ্চা এদিকে আয়
আম্মু আর অর্দ্রী আসলো
-এটা কি করেছিস তুই
-আমি কি করবো, তোমাদের চিনতে পারিনা তাই
-তাই বলে আমারে মেরে ফেলবি
-মেরে ফেলিনি তো শুধু কেটেছি
-তোর কি দয়ামায়া কিছু নাই, কত রক্ত বের হচ্ছে দেখছস
-বউমা, রক্ত মুছে ওখানে ঔষুধ লাগিয়ে দাও, আমি তোমাকে ঔষুধ দিচ্ছি
বলে আম্মু ঔষুধ আনতে চলে গেল । আর হ্রামি এমনভাবে রক্ত পরিষ্কার করছে যেন উঠোন ঝাড়ু দিচ্ছে ।
-উফফফফফ, আস্তে কর খুব ব্যথা করতেছে
-সোনা আমার ময়না আমার, আর কখনো কষ্ট দিবোনা, এই একবার ঠোঠে দাত চেপে সহ্য করো প্লিজ
-এখন যদি ব্লাডিং হতে হতে আমি মরে যাই
-দেখো এসব কথা একদম বলবানা
-কেন বলবনা, এমন তো হতেই পারে তাইনা
-ওকে আমিও কাটতেছি দাড়াও, আমিও মরে যাবো
বলেই উঠে যেত লাগলো । আমি অর্দ্রীর হাত ধরে হ্যাচকা টান দিলাম । ও নিজেকে সামলাতে না পেরে আমার বুকের মধ্যে এসে পড়লো ।
-ও মা গো, তোমার ছেলের আর বেচে থাকা হলোনা, আমাকে মেরে ফেললো ।
-
-সরি সরি সরি
-হু
-আজ তোমার জন্য আমি রান্না করেছি
-তাহলে তো আর খাওয়ায় যাবেনা
-কেন যাবেনা, শুনি
-শুনা লাগবেনা, আমি বাহিরে গেলাম
রুম থেকে বের হলাম । সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে । যেন তার চিড়িয়াখানায় বাঘ দেখতে এসেছে ।
-এই যে নতুন বর, প্রথম রাতেই এই অবস্থা, জানিনি তোমার কপালে যে কি আছে
-আমার যে অবস্থা হোক তাতে তোর কি
-আমার যে খুব কষ্ট হচ্ছে
-কেন
-আমার জানুটার এই অবস্থা আর আমার কষ্ট হবেনা তা কি হয় নাকি
-থাপড়ায়ে তোর দাঁত লাগামু
-জায়গা নাই
-কিসের
-মানে আমার সব দাঁত উঠেছে, আর লাগানোর জায়গা নাই ।
-আমার এদিকে জ্বলতেছে আর তুই ফাজলামি করতেছিস
-কি জ্বলতেছে
-কি আবার, বুক
-আমি কি ফু দিয়ে দিবো
-দুর শালি যা
বলে ছাদে গেলাম । খুব ব্যথা করতেছে তাই পোষাক পহতে পারিনি । খুব ঠান্ডা লাগতেছে তাই রোদের জন্য ছাদে গেলাভ । ওমা ছাদে গিয়ে দেখি অভ্র কার সাথে যেন রোমান্টিক প্রেম করতেছে । জানু একটা পাপ্পি দাও, লাভ ইউ জানু । এই টাইপের কথা আরকি । আমাক দেখে ফোন রেখে দিলো ।
-কি রে তোর এই অবস্থা কেন
-অর্দ্রী কে হেব্বি ভালোবাসি তো তাই নাম লিখে নিয়ে ঘুরতেছি ।
-নাকি ও লিখে দিছে
-ও লিখে দিবে কেন
-যাতে অন্য মেয়েরা নজর না দেয়
-
-যা তো এখান থেকে
-আমি না, তুই যাবি
-কই যামু
-পাবনায়
-মাথা খারাপ, ঐখানে আমি জীবনেও যাবোনা
-যেতে যে হবেই, কালকেই ওই টাকলু তোদের নিয়ে যাবে
-আল্লাহ রে
-টেনশন করিসনা, আমিও যাচ্ছি
-তুই যাবি কেন
-আরে আমার মেঘা আছে না
-শালা
-আরে শালা না, ভাইরা বল ভাইরা
-দুর শালা যা এখান থেকে
-যাচ্চি
-আর শুন, একটা চেয়ার দিয়ে যা
.
অভ্র নিচে গিয়ে একটা চেয়ার নিয়ে এল ।
-ওই শোন, আমার ফোনটা দিয়ে যা
-হ, আমি তোর চাকর নাকি বে, তোর বউকে বল যা
-তোর ফোন দে
-কেন কি করবি
-আমার ফোনে ফোন দিমু
-আমি দিচ্ছি দাড়া
বলে অভ্র আমার ফোনে কল দিল । দ্বিতীয়বার রিছিভ হলো ।
-বাড়িতে থেকে ফোন দিচ্ছ কেন
-ফোন কি আর সাধে দিচ্ছি
-কেন কি হয়েছে
-তোমার বর বুইড়া হয়ে গেছে, চেয়ারে বসে আর উঠতে পারছেনা, ওর ফোন টা দিয়ে যাও ছাদে
-ওই ওকে বুড়া বলবা না, দেখছো না কত কস্ট দিয়েছি ওকে, কত্ত ব্যাথা পাচ্ছে
-কিহ, তুমি কেটে দিয়েছো
-হুম
-ওরে আমার আল্লাহরে, আমি আর নাই, মেঘাও তোমার মত মেন্টাল তাই
-ওই একদম মেন্টাল বলবা না, আমি কত্ত চুইট একটা মেয়ে
-তুমি একটা দজ্জাল মেয়ে, আচ্ছা মেঘাও কি তোমার মতো ডাইনি
-কি বললি তুই, আমি ডাইনি.?
-আচ্ছা দাড়া,মেঘারে বলতেছি তোরে কেমনে টাইট দেয়া লাগে সেটা আমি জানি ।
-
-না না ভাবি, এইটা করোনা প্লিজ
-আমাকে ডাইনি বলেছিস
-মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে, সরি
-মনে থাকে যেন
-হুম, ফোন নিয়ে ছাদে যাও
বলে অভ্র ফোধ টা কেটে দিলো ।
-কি করে বীরপুরুষ, বাসর রাতে বিড়ার মারতে ঢুকলি, এখন তো দেখছি বিড়াল তোকে মারছে
-হু, তাতে তোর কি
-খুব তো বড় গলায় বললি যে ওকে খুব ভালবাসিস তাই ওর নাম বুকে লিখে নিয়ে ঘুরছিস, এখন তো দেখতেছি কাহিনী উল্টা
-এই তুই কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান না করে এখান থেকে যা তো
.
অভ্র চলে যেতে না যেতেই অর্দ্রী আসলো
-এই নাও তোমার ফোন
-থ্যাংকু
-হু, কার সাথে কথা বলবা শুনি
-কারো সাথে না অনেক দিন গল্প লিখিনাই, তাই গল্প লিখবো
-আচ্ছা লেখো
-আচ্ছা কালকে নাকি ওই টাকলু টা আমাদের পাবনা নিয়ে যাবে
-হ্যা, আর দেখো আমার বাবাকে টাকলূ বলবা না
-আচ্ছা বলব না
-আচ্ছা তুমি লেখো, আমি আম্মুর সাথে রান্না করবো
-আচ্ছা যাও
ফেবুতে ঢুকেই দেখি, আগের পার্টগুলাতে অনেকের কমেন্ট আছে । তার মধ্যে কয়েকজন পাবনার । তারা আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে । তাদের মধ্যে একজন হলো @[100022885479726] আসল নাম প্রিয়া । "তুই একবার পাবনাতে আয়, তোরে যদি আমি পাগলাগারদে না ঢুকাইছি তাহলে তোর মাথা ফাটামু"
এই গল্প টা যখন শুরু করেছিলাম তখন থেকে তার সাথে পরিচয় ।
-
সম্পর্ক তার সাথে খুবই ভালো । তবে যা বলেছে তা না করলেও কাছাকাছি কিছু একটা করবে । পাবনার তো তাই কোনো গ্যারান্টি নাই । সত্যি সত্যি করতে পারে ।
গল্প লেখা আর ফেবু এ থেকে সারাটা সকাল কেটে গেল । বিকালে সবাই মিলে বেড়াতে গেলাম অনেক মজা করলাম । অভ্র সাথে থাকায় একটা সুবিধা হলো । সবাইরে চোখ মারতে পারলাম । সবাই তো ভাবছে অভ্র চোখ মারছে ।
সন্ধ্যার আগেই সবাই বাসাতে চলে আসলাম । গল্প করতে বসল সবাই । আমার দিকে কারো খেয়াল নেই । যেন অর্দ্রীই তাদের সব ।
ধুর ভাল্লাগেনা।ছাদে গেলাম।গিয়ে দেখি অভ্র আর মেঘা
-ওই শালা, তোর এই লুচু প্রেম কখন শেষ হবে
-তুই যা,বিরক্ত করিস না
ওরেস্সালা,আমারে ঝাড়ি দিলো।চলে আসলাম
রাতে খাওয়া দাওয়া করে ঘূমাতে গেলাম
-এই তুমি কি রাগ করে আছো
-হু
-লক্ষী সোনা রাগ করেনা
-একটা কিস দাও তাহলে
সাথে সাথে কপালে একটা চুমু দিল
-আমি এখানে চাইনি
-তাহলে কোথায়
-ঠোঠে
-শালা লুইচ্ছা
-না, আমি অনেক ভাল ছেলে
-তুই যে কতটা ভালো সেটা আমি ভালো করেই জানি
-তুমি বললেই তো হবেনা, পাবলিক বলবে আমি ভালো
-দেখিতো কোন পাবলিক বলে তুই ভালো
-সবাই বলবে,জিজ্ঞেস করে দেখ
-তাই করমু, "আচ্ছা আপনারাই বলেন এই হ্লা ভালো নাকি লুইচ্চা"
.
Continue....
.
#অর্দ্র
রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭
গল্পঃ পাবনার পাগলি / পর্বঃ ১১
বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭
গল্প: পাবনার পাগলি / পর্ব: ১০
গল্পঃ #পাবনার_পাগলি
পর্বঃ ১০
.
লিখাঃ অর্দ্র
.
-ওই এভাবে আর কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকবো
-আমার রাগ যতক্ষন কমবে না ততক্ষণ
-তোমার রাগ কখন কমবে
-দুর শালা, আমি জানি নাকি
-লক্ষীসোনা রাগ করেনা, একটু হাসো প্লিজ
-কাজ হবে না
-ভাল্লাগেনা আর হবেনা করছি যে প্রমিজ
-ওকে আয় আমার পা টিপে দে
-এইটা কি কও
-যা কইতেছি সেটাই কর
-বলে বউ আমার খাটে গিয়ে শুয়ে পড়লো ।
-আমার পা টিপে দে নাহলে কান ধরে দাড়িয়ে থাক
.
ধুর কে দাড়িয়ে থাকবে । যদি বউয়ের পা টিপে দেই তবুও লাভ আছে । বউকে টাচ করতে পারবো আর দাড়িয়ে থাকতে হবেনা বসতে পারবো ।
তাই দাড়িয়ে থেকে খাটে গিয়ে বসে বউয়ের পা টিপতে লাগলাম ।
টিপতে টিপতে কখন যে ঘূমিয়ে পড়েছি মনে নাই ।
-এই হ্রামি ঘূমাস কেন উঠ
আমি ধরফর করে লাফিয়ে উঠলাম
-ঘুমাচ্ছিস কেন
-ঘুম আসলে কি করমু
-ছাদে চল
-কিহ
-হু
-এত রাতে কেউ ছাদে যায় নাকি
-আমরা যাবো
-না যাবোনা ওখানে ভুত আছে
-তোর ভুতের গুষ্টি কিলাই, আমি আছিনা.?
.
কি করবো যেতেই হবে তাই কথা না বাড়িয়ে যেতে লাগলাম ।
-ওই কই যাও
-ছাদে
-আমি যাবোনা.?
-চলো
-আমাকে নিয়ে যাও
-তুমি কি বাচ্চা নাকি যে তোমাকে হাত ধরে নিয়ে যেতে হবে
-হাত ধরে নিয়ে যেতে বলিনি, কোলে করে নিয়ে যাও
--ওর বাবারে আমি পারবোনা
-কেন পারবা না
-আমি নিজেই বাচ্চা, তোমাকে ক্যামনে কোলে নিবো
-আমি কিচ্ছু জানিনা আমাকে এখন কোলে করে ছাদে নিয়ে যাও নাহলে কিন্তু আমি জোরে করে চিল্লানি দিবো
-কেন
-তুই কোলে নিবি নাকি চিল্লানি দিমু.?
-নিচ্ছি নিচ্ছি
অর্দ্রী কে কোলে নিয়ে ছাদে যাচ্ছি
-ওরে বাবারে এইটা মানুষ নাকি নুনের বস্তা
-কি বললি তুই
-কই কিছুনা
-না, কি বলেছিস বল
-বল্লাম, তুমি এত হালকা কেন একদম তুলোর বস্তার মতো
-হু, ডায়েট কন্ট্রোল করি তো তাই
-হু তুই কিসের ডায়েট কন্ট্রোল করিস সেটা আমার বুঝা হয়ে গেছে (মনে মনে বললাম)
অনেক কস্টে ছাদে পৌছলাম । এত ভারি জিনিস নিয়ে সিড়ি বেয়ে উঠা যায় নাকি । ছাদে গিয়ে ওকে নামিয়ে দিলাম ।
-তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে
-কি
-এই দেখ তোমার জন্য মুনলাইট ডিনার এর ব্যবস্থা করছি
-ঢাকনা গুলো খুলে দেখ, তোর বোন আর অভ্র সব শেষ করেছে
(মনে মনে বললাম)
-বসো আজকে দুজনে আমরা মুনলাইট ডিনার করবো
-ডিনার করা লাগবে না নিচে চলো
-আরেহ, কত্ত কস্ট করে এর ব্যবস্থা করেছি আর করবোনা তা কি হয় নাকি, বসো বলছি
.
চুপ করে বসে পড়লাম ।
অর্দ্রী ঢাকনা খুলে চোখ বড় বড় করে পাত্রের দিকে তাকিয়ে আছে ।
-খাবার কোথায় গেল
-আমি কি জানি
-খাবারের কি ডানা আছে যে উড়ে যাবে
-হু
-তুই তখন ছাদে এসেছিলি বল খাবার কে খেয়েছে
-মেঘা আর অভ্র
-অভ্রর বাচ্চা তোরে আইজকা আমি খাইছি
বলেই নিচে নেমে আসলো । অভ্রের রুমের দরজার সামনে গিয়ে চিৎকার করতে লাগলো
-ওই হ্রামজাদা দরজা খোল
-...
-দরজা খুলবি নাকি ভাইঙ্গা ফালামু
অর্দ্রীর চেচামেচিতে আব্বু আম্মু জেগে গেছে ।
-কি ব্যাপার এত রাতে এভাবে চেচাচ্ছ কেন
-এই বান্দরের বাচ্চাকে আগে বাইরে আসতে বলে তারপর বলতেছি
-একি বউমা, আমি বান্দর
-আপনি বান্দর হতে যাবেন কেন
-তাইলে কি আমি বান্দর
-আপনারা কেউ বান্দর না. ওই অভ্র বাইরে আয়
অনেক্ষণ পর অভ্র দরজা খুলল ।
-ওই তোর তো সাহস কম না
-কেন কি হইচ্ছে
-আমার প্রানের স্বামীর জন্য আমি মুনলাইট ডিনারের ব্যবস্থা করেছি । আর তুই সব খাবার শেষ করেছিস
-আমি কি জানি নাকি যে ওটা তোমার পিয়ারি স্বামির জন্য রাখছো
-তোর জানা উচিত ছিল তুই জানিসনি কেন
-আমি কেমনে জানমু
-আমাকে জিজ্ঞেস করলি না কেন
-ওরে আম্মাজান আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে মাফ করে দে মা প্লিজ
-ইচ্ছা করতেছে তোর মাথার মধ্যে বাঁশ দিয়া বারি মারি
-তো মার
-ওই কেউ একটা লাঠি দেতো
-আমি নাই
বলে অভ্র দরজা বন্ধ করে দিল ।
-অভ্র দরজা বন্ধ করার পর অর্দ্রী অনেক চেচামেচি করে শেষে শান্ত হয়ে রুমে ফিরে আসলো ।
-আমি ঘুমাবো
-তো আমি কি জেগে থাকবো
-রেগে আছো কেন
-আচ্চা ঘুমাও, আমি ঘুমাবো
-আচ্ছা
.
আমি শুয়ে পড়লাম । একটুপর অর্দ্রী অন্য দিকে মুখ করে শুয়ে পড়লো । জরিয়ে ধরার এই অপুর্ব সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছিলাম না । তাই কোনো কিছু না ভেবেই জরিয়ে ধরলাম ।
-এই এই কি করছো
-কি আর করব পালিয়ে যেতে যেন না পারো সেজন্য ধরে আছি ।
-বেশি বেশি হচ্ছে কিন্তু
-একটু জরিয়ে ধরেছি তাতেই বেশি হচ্ছে, তাহলে যখন.....
-তাহলে যখন মানে, কি করবি তুই
-স্বামি স্ত্রী যা করে তাই
-না বাবু এইটা হবেনা
-কেন হবেনা
-আমি হতে দিবোনা
-যাহ বাবা, বিয়ে করলাম অথচ এইটা করতে পারবোনা এটা কেমন কথা
-হ্যা, বউ অনুমতি না দিলে বর করতে পারবে না
-কিন্তু বউ অনুমতি দিবেনা কেন
-তার বরটা যে পিচ্চি, এই বয়সে এত্ত ধকল সামলে নিতে পারবেনা
-পারবে
-পারবেনা
-বললাম তো পারবে
-বেশি কথা বলিস কেন, আমি বলেছি পারবেনা সো পারবে না
-ধুর ভাল্লাগেনা
-হু, শুধু জরিয়ে ধরে থাকবা, বেশি কিছু করতে চাইলে ঠ্যাং ভেঙ্গে খাটে বসিয়ে রাখবো ।
-কি হ্রামি বউ রে
-হু, সেই বুঝে চুপচাপ থাকবি
-
সকালে কারো কান্নার আওয়াজে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল । চোখ খুলে দেখি অর্দ্রী পাশে নাই । দরজা টা খুলা । মনেহয় বাহিরে গেছে । কিন্তু কাদছে কে । মনে হয় অর্দ্রী কাদতেছে । একবার মনে হলো, গিয়ে জিজ্ঞেস করি কেন কাদছে । তারপর মনেহলো এই শীতের মধ্যে লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকাই ভালো । পরে একসময় জিজ্ঞেস করবো কেন কাদছে । আর উঠলাম না শুয়ে রইলাম ।
.
-এ কি বউমা কাদছো কেন.?
-কাদবো না তো কি হাসবো
-কি হয়েছে
-দুইটা একই চেহারার বাদর বানাইছেন, আমি চিনতে পারছি না, এখন আমি কি করব
বলে আরো জোরে কান্না শুরু করে দিলো ।
-এই জন্য কাদতে হবে নাকি
-.....
-তুমি কিছু একটা চিহ্ন দেখে চিহ্নিত করে নিবা যে এটাই অর্দ্র
-নিয়েছি আম্মাজান
-তাহলে তো সমস্যাই নাই
-আছে
-কি সমষ্যা
-কাল রাতে ওর বুকের মধ্যে ব্লেড দিয়ে আমার নাম লিখে দিয়েছি । ও যদি উঠে দেখে তাহলে আমার কি হবে ।
.
বলেই আরো জোরে কান্না করতে লাগলো
-আরেহ কান্না করতে হবেনা, আমি তো আছি
.
আম্মু আর অর্দ্রী কথা শুনে আমার মাথা ঘুরতেছে । আমার বুক কেটে চিহ্নিত করেছে । এত হ্রামি, দয়ামায়াহীন বউ জীবনে দেখিনি ।
.
Continue.......
.
#অর্দ্র
মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
গল্প: জ্বিন ধরছি / পর্ব: ০১
গল্পঃ #জ্বিন_ধরছি
পর্বঃ ০১
.
লিখাঃ অর্দ্র
.
-এই ধরছি, ধরছি, সোনা এইবার তুমি কই যাবা ।
-এই হতচ্ছারা আমাকে বোতলে তুলছিস কেন, ছাড় আমাকে
-তোমাকে তো ছাড়ার জন্য ধরিনাই
-তাইলে আমাকে দিয়া তুই কি করবি বাপজান
-বড়লোক হবার জন্য
-তুই বড়লোক হবি হ, আমাকে ছাড় বাপ
-তোমারে ছাড়লে তো আমি বড়লোক হতে পারমুনা
-আমি এখানে থাকলে তুই ক্যামনে বড়লোক হবি
-বর দাও
-কিসের বর দিমু
-৩ টা বর দিবা তুমি
-এটা আবার কি
-দেখো একদম চালাকি করবার চেষ্টা করবা না, আমি এত বোকা না
-তাই তো দেখছি
-তারতারি আমার তিনটা ইচ্ছা পুরণ করো
-ইচ্চা গুলো বল
-টাকা, অনেক টাকা
-তারপর
-গাড়ি আর বড় বাড়ি
-নেক্স্ট
-সুন্দরী নারী
-আগে কোনটা চাস
-টাকা চাই টাকা
-আচ্ছা শোন, তোদের গ্রামে একটা পুরনো রাজবাড়ি আছে না.?
-হু আছে, ভোরবেলায় ওটা অনেক লোকের উপকারে আসে
-শোন, ঐখানে দেখবি একটা রুম তালা বন্ধ, অনেক দিন আগের তালা তাই মরচে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে । টান দিলেই খূলে যাবে
-হু তারপর
-তারপর ওই রুমের এক কোনে দেখবি একটা সিন্দুক রাখা আছে
-ওখানেই আমার টাকা আচে
-তুই থামতো, খালি বেশি কথা বলিস তুই
-আচ্চা
-সিন্দুকটা সরিয়ে মেঝে কিছু দিয়ে খুরবি, তারপর বেরিয়ে আসবে রাশি রাশি টাকার বাক্স..
--সব টাকা আমার
-হু সব তোর, আর শোন, বাক্সের সাথে একটা করে সাপ বেরিয়ে আসবে । ভয় পাবিনা একদম । কিছু হবেনা । সাহস করে হাত দিবি দেখবি সব টাকা তোর হয়ে যাবে
-ও নিয়ে তোমাকে চিন্তা করতে হবেনা, এমনিতেই আমি অনেক সাহসী
হু, সাহসী হলেই পাবি ভিতু হলে পাবিনা
-হু কখন যাবো
-রাত ২ টার সময়
ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি ১:২৫ বাজে । ভাবলাম এক্ষুনি বেরিয়ে পড়ি ।
-আচ্ছা জ্বীন তাইলে আমি গেলাম ।
-বেষ্ট ওফ লাক
ওরেম্মা, জ্বীন দেখতেছি ইংরেজি ঝারতেছে । এ কি যুগ আইলোরে ।
বেরিয়ে পড়লাম রাজবাড়ির উদ্দেশ্যে । রাজবাড়ির কাছে এসে কেমন জানি ভয় লাগতে শুরু করেছে । বড়লোক হতেই হবে এই কথা ভাবতেই একটু সাহস সঞ্চিত হলো । সেই সাহস নিয়ে চললাম রাজবাড়িতে । রাজবাড়ির গেটে পা রাখতেই নিজে থেকে গেট টা খুলে গেল । আমার তো ভয় বাড়তে লাগল । এরকম ভৌতিক কান্ড ঘটার কথা ছিল না তো । কিন্তু এখন এসব ঘটছে কেন । কিসের যেন একটা আওয়াজ পেলাম । তাকিয়ে দেখি দোলনা দুলছে একা একা । আমার হার্ড তো বেরিয়ে যাবে । নেহাতই হাত দিয়ে ধরে রেখেছি না হলে এতক্ষন আমি ভুত হয়ে ওই দোলনাতে বসে থাকতাম ।
আওওও দোলনায় কে যেন বসে হাসতেছে । প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলাম । আমার হাটু কাপছে ।
-এ কি ! নাউযুবিল্লাহ, এটা কি হলো । আমার তো হিসি হইয়া গেছে । ছি ছি আমি এত ভিতু আগে জানতাম না । কত সাহসিকতার সাথে জ্বিন ধরলাম, আর এখানে এসে কারো হাসি শুনে হিসি হয়ে গেল । এই মুখ আমি কারে দেখামু । আল্লাহ আমারে সাহস দাও । আর এই কথা লিক হয়ে গেলে আমার মান সম্মানের দফা রফা হয়ে যাবে । .
এভাবে আর থাকা যাবেনা, বাসায় চলে আসলাম । ড্রেস চেঞ্জ করে জ্বিন বেটাকে ছোট্ট একটা বোতলে তুললাম
-আরে আরেহ কি করছিস, এত ছোট বোতলে থাকমু কেমনে
-আমি কিছু জানিনা, তোমার এভাবেই থাকতে হবে ।
-কেন
-এইবার তোমারে পকেটে করে নিয়ে যামু, আগের বার ভয়ে হিসি করে দিছি ।
-হাহা হা হা হা হা হা হা
বজ্জাত জ্বিনটার হাসি থামছেই না । থামলে থামুক না থামলে না থামুক আমি ওর পকেটে তুলে নিয়ে চললাম রাজবাড়িতে ।
দেখলাম গেট লাগানো, ধাক্কা দিলাম খুলতেছে না, আগের বার এমনিতেই খুলে গেছিলো । অনেক কস্টে গেট খুলে ভিতরে গিয়ে দেখি দোলনায় কেউ নাই । আর দোলনা দুলছে না । সব কিছু স্বাভাবিক লাগছে । প্রাসাদে প্রবেশ করলাম । অনেক গুলা রুম বাট কোন কোন রুমে আছে সেই গুপ্তধন । না পেয়ে উপর তলায় গেলাম । জ্বিন যেমন টা বলেছিলো তেমন একটা রুম পেলাম ।রুমের কাছে গেলাম । তালা টা টান দিতেই খুলে গেল । ভিতরে গেলাম । ওমা কি অন্ধকার । কিছু দেখা যাচ্ছেনা । ঘরের কোনায় কোনায় খুজলাম । এক কোনায় একটা বাক্স পেলাম । কিন্তু জ্বীন তো বলেছিল সিন্ধুক বাট এখানে তো বাক্স । মনেহয় জীন টা ভুল করছে । বাক্স টা সরিয়ে খুরপি দিয়ে খুড়তে লাগলাম । বাট এটা তো ছাদ । ইট পাথরের মেঝে । এটা খুরবো কিভাবো । বসে বসে অনেক্ষন ভাবলাম । তারপর হঠাৎ জ্বিনের কথা মনে হল । আরেহ জ্বীন তো আমার পকেটে আছে তাহলে এত চিন্তা কিসের ।
পকেট থেকে জ্বীনটাকে বের বললাম,
-মিথ্যুক
-কেন রে,
-খুড়তে পারছি না
-এই তুই কোথায় নিয়ে এসেছিস আমাকে
-কেন, রাজবাড়ীর দোতলায়
-হ্রামজাদা তুই দোতলার মেঝে খুড়বি কেমনে, যা নিচে যা । নিচে গিয়ে খোজ
.
জ্বীনের কথা শুনে নিচে নেমে এলাম । দক্ষিণ দিকে বারান্দায় আরো ২ টা রুম আছে সেগুলা দেখা হয়নি । তাই রুম দুটো দেখতে দক্ষিনের বারান্দায় গেলাম । জ্বীনের বর্ণনা মত রুম পেয়ে গেলাম । ভিতরে ঢুকে সিন্দুক সরিয়ে খুড়তে লাগলাম । একটু খুড়তেই একটা বাক্স বেরিয়ে এল । সাথে একটা ইয়া বড় সাপ । খুব ভয় পেয়ে গেলাম । জ্বিন বলল,
-ভয় পাসনা, হাত দিয়ে বাক্সটা নে
এদিকে ভয়ে আমার প্যান্ট ঢিলা হয়ে গেছে
-গলা শুকিয়ে গেছে । আর সাপটা ফোস ফোস করছে । যেন অনেক বছরের অনাহারী ।
সাহস করে বাক্সের দিকে হাত বাড়লাম । ওমনি সাপটা ফোস করে একটা ছোবল মারল । ভাগ্যিস হাতে লাগেনি । আমি উল্টা দৌড়াতে শুরু করলাম । আর থাকতে পারলাম না । হ্রামজাদা জ্বিন আমাকে মারার প্লান করছে । যে জোরে ছোবল মেরেছে আর হ্রামি জ্বিন টা বলছে কিচ্ছু বলবেনা । কত্তবড় বেইমান । প্রাসাদ থেকে বের হয়ে দেখি মেইন গেট টা নিজে থেকে আটকে যাচ্ছে।আমি প্রাণপণে ছুটতে লাগলাম।অবশেষে আমি পৌছার আগেই দরজাটা বন্ধ হয়ে গেল।আর আমি সজোরে গেটের সাথে ধাক্কা খেলাম । তারপর আর কিচ্ছু মনে নাই ।
.
সকালে চোখটা খুলে দেখি আমি আমার রুমে শুয়ে আছি । ঘুম থেকে জাগতেই জ্বিনের কথা মনে হল।পকেটে হাত দিয়ে দেখি নাই।সারা রুম খুজলাম কোথাও বোতল টা পেলাম না
আম্মু এসে বলল
-কি খুজছিস
-বোতল,জ্বীন টাকে ওই বোতলেই তুলে রেখছি
-জ্বীন বোতলে তুলবি কেমনে
-আরেহ, রাতে ধরেছি
-এই জন্যই সারারাত জ্বিন ধরছি জ্বিন ধরছি করছিলি
তার মানে আমি আমার রুমেই ছিলাম।আর আমি তাহলে স্বপ্ন দেখছি।উফফফ যদি সত্যি হতো তাহলে জ্বীনটা আমার কথা শুনতো
প্যান্টের দিকে তাকিয়ে দেখি এইরে কাম সারছি
গোসল করার জন্য বার্থরুমে গেলাম
.
বিঃদ্রঃ Just Fun
.
Continue..
.
#অর্দ্র
গল্প: পাবনার পাগলি / পর্ব: ০৯
গল্পঃ #পাবনার_পাগলি
পর্বঃ ০৯
.
লিখাঃ অর্দ্র
.
অনেক চঢ়াই উতড়াই পার করে শেষ পর্যন্ত বিয়েটা করতে পারলাম ।
এই বিয়ে করতে কত্ত ধকল গেছে তার ঠিক নেই । যাইহোক এখন আমি বিবাহিত । এখন বলা যায় "অর্দ্র ইজ নট এ ব্যাচেলর"
কিছুক্ষণ আগেই সিঙ্গেল ছিলাম আর এখন আমি ডাবল ।
.
যাইহোক বাহিরে থেকে ভিতরে গিয়ে আমার রুমে একটা উকি দিয়ে দেখি আমার রুমটা আর রুম নেই । জনসভা হয়ে গেছে । আর নেতা হলো অর্দ্রী আর তার চামচে হলো আমার কাজিনরা ।
লোকজনে রুম ভরে গেছে । আমার জন্য জায়গা নেই ।
.
এখানে থেকে আমার আর কাজ নেই তাই ছাদে গেলাম । ওমা ছাদে দেখি একটা টেবিল আর দুইটা চেয়ার রাখা আছে । টেবিলে দেখলাম কিছু খাবার ।
বাহ, আমার জন্য । ধুর আমার ক্ষিদা লেগেছে এখন খেতে হবে । এমন সময় অভ্র আসলো । সাথে মেঘা আছে ।
-তুই এখানে আর আম্মু তোকে কখন থেকে খুজতেছে
-খেয়ে নিই, তারপর যাচ্ছি
-আরেহ না আগে শুনে আয় কি বলে
মনেহয় অনেক্ষন থেকে খুজতেছে তাই আর দেরি না করে নিচে চলে আসলাম । অনেক খুজেও আম্মু কে পেলাম । শেষে দেখলাম আমার রুম থেকে বের হচ্ছে ।
-আমাকে ডেকেছো কেন
-কখন ডাকলাম
-অভ্র বলল ডেকেছো
-মিথ্যা বলেছে
.
দাড়া মিথ্যা বলা বের করছি । উপরে গেলাম ।উপরে গিয়ে যা দেখলাম । তা দেখে আমি তো অবাক । হ্রামিরা একটা জুসের মধ্যে দুইটা নল দিয়া দুইজনে খাইতেছে ।
আহা.! কি রোমান্টিক
কিছু বললাম না, নিচে চলে আসলাম । এসে দেখি অর্দ্রী সবার সাথে টেবিলে বসে খাইতেছে । বাহ কি অসাধারণ । নতুন বউয়ের বৈশিষ্ট্য দেখে আমি অবাক না হয়ে পারছিনা । লজ্জা শরম কিচ্ছু নাই । আল্লাহ এটারে কি দিয়া বানাইছে । আমি যেতেই
-আরে কই ছিলা, বসো তোমারে আমি খাওয়াইয়া দিই
সবাই হো হো করে হাসতে লাগলো
কি লজ্জা কি লজ্জা
আমি অসস্তিবোধ করছি দেখে কাজিনরা বলল
-এত লজ্জা পেয়োনা, খাইয়ে দিচ্ছে খেয়ে নাও, পরে এই সুযোগ না পেতেও পারো
অর্দ্রী খাইয়ে দিতে লাগলো, আর আমি লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে সবার সামনে খেতে লাগলাম
-এই তুমি আমাকে খাইয়ে দাও
-সবার সামনে.?
-আমি পারলে তুমি পারবা না কেন
আরে লজ্জা কিসের খাইয়ে দেতো
কিচ্ছু করার নেই, অর্দ্রীকে খাইয়ে দিতে লাগলাম ।
খাওয়া শেষে রুমে গেল । সাথে হ্রামিগুলাও গেল ।
একটুপর ভাবি বের হয়ে এল
-কি দেবর সাহেব, এখানে একা একা কি করো
-আমার সাথে এখন কেউ নাই, তাই একা
-আহারে বেচারা, আমি তো আছি
-আমি জানতাম তুমিই থাকবা
-শোনো একটুপর সবাই বের হয়ে আসবে তখন তুমি ভিতরে যাবা
--ভিতরে গিয়ে আমি কি করবো
-ওলে আমার ধোয়া তুলসি পাতারে কিচ্ছু জানেনা
-হু তাইতো
-ভিতরে গিয়ে দুজনে একলগে থাকবা, বউ বার যা করে তাই করবা
-ভাবি তুমি কি পাগল হইছো
-পাগল হবো কেন
-ওই পাবনার পাগলির সাথে একলগে থাকবো, আমার কি মাথা খারাপ
-তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা, রুমে যাও আমি একটু পর আসতেছি
.
সবাই দেখি রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে । কাজিন রা যেতে যেতে বলল
-জানু, আজকেই কিন্তু বিড়াল মারতে হবে, নাহলে কিন্তু বিড়াল তোমাকে মারবে
-ধুর শালি যা তো
-ওই আমি না তোমার জানু, শালি বলছো কেন
-কিহহ জানু.??
-হুম
-যা দুরে গিয়া মর
সবাই চলে গেল । আমি একা দাড়িয়ে রইলাম । ভেতরে ঢুকার সাহস পেলাম না । কারণ ভেতরে পাগলি আছে । কামড়ে দিতে পারে ।
দরজার সামনে দাড়িয়ে দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছি । ঢুকবো কি ঢুকবো না । এমন সময় ভাবি এসে এক ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকিয়ে দিল । আবার বাহিরে বের হতে চাইলাম । কিন্তু পারলাম না । বাইরে থেকে দরজাটা আটকে দিয়েছে ।
কি আর করার আর বাহিরে যাওয়া হবেনা । পাগলির সাথে এখানেই থাকতে হবে ।
পেছন ঘুরে খাটের দিকে তাকিয়ে দেখি পাগলি নাই । ওমা পালাইলো নাকি । এখন কি হবে ।
খাটের নিচে আলমারিতে দেখলাম কোথাও নেই ।এইবার একটু ঘাবড়ে গেলাম । ভয় ভয় হচ্ছে । মেয়েটা গেল কোথায় । এমনসময় মনে হল পিছনে কে যেন গুনগুন করে কিছু পহছে । পেছনে ফিরে দেখি অর্দ্রী চেয়ারে বসে আছে । আর তার সামনে টেবিলে কত গুলা পৃষ্টা আছে যেগুলাতে কি যেন লেখা আছে সেগুলা পড়ছে ।
.
-ওই পাবনার পাগলি ওখানে কি নতুন বউয়ের মতো খাটে এসে ঘোমটা টেনে বসো
-তোর নতুন বউয়ের গোষ্টি কিলাই
-নতুন বউ এভাবে কথা বলে নাকি
-রাখ তোর নতুন বউ, এসব কি
-কোনসব
-এত গুলা চিঠি কার জন্য
এই রে সব দেখে ফেলেছে । এখন কি হবে । আল্লাহ তুমি মোরে বাচাও ।
-কি হলো বল
-আমি কি করবো, ভালো লেগেছিলো তাই লিখেছিলাম, তবে বিশ্বাস করো কাউকে দেইনি ।
-তোর সাহস কি করে হলো অন্য কারো জন্য চিঠি লিখার
-ভুল হয়ে গেছে
-ভুল যখন করেছিস তখন শাস্তি তো পেতেই হবে
-কি শাস্তি
-আমি যতক্ষন সবগুলো চিঠি পড়ে শেষ না করবো ততক্ষণ তুই কান ধরে দাড়িয়ে থাকবি
-এই শাস্তি দিওনা প্লিজ
-তাহলে চিঠি গুলা সবাইরে দেখামু
-এই না না, ধরছি ধরছি
.
কান ধরে দাড়িয়ে আছি আর হ্রামিটা চিঠি পড়ছে । আর মাঝে আমার দিকে তাকিয়ে হাসতেছে । সেই হাসি দেখে আমার পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে ।
-ওই এখন এক পায়ে দাড়িয়ে থাক
-কেন
-এই চিঠিটা পড়ে আমার অনেক রাগ হচ্ছে তাই
--কেন, কি লেখা আছে
-বলতে পারব না অনেক রাগ হচ্ছে
-তবুও বল
-তোমার ঠোঠ দুটো দেখলে শুধু কিস করতে মন চায়
-তো করো
-অর্দ্রর বাচ্চা অর্দ্র, তোরে কিস করতে যামু কোন দুঃখে, চিঠিতে এটা লেখা আছে
-নাউযুবিল্লাহ
-হুহ, এখন ভালো সাজা হচ্চে
-আমি তো ভালোই
-তুই কেমন ভালো সেটা আমার জানা হয়ে গেছে, কান ধরে একপায়ে দাড়িয়ে থাক
কি আর করবো ঘরওয়ালি কা হুকুম । তাই পালন করতেই হবে ।
কান ধরে এক পায়ে দাড়িয়ে আছি । এমন সময় ভাবি এল সাথে কাজিনরাও আছে । আমি হতভম্ভ হয়ে গেলাম ।
-এ কি জানু, তোমার এই অবস্থা কেন
-ওই ওরে জানু বললে তোর মুখ কিন্তু সেলাই করে দিমু
-কেন গো সতিন তোমার জ্বলছে নাকি
-এই তোর মাথা কিন্তু ফাটাইয়া দিমু
-আচ্ছা আর বলবো না ওর এই অবস্থা কেন
-না বলে কারো বাসর ঘরে ঢুকা এটা কি ধরণের বেয়াদবি
-বেয়েদবি তো তুমি করছো সেইজন্যই তো কান ধরে দাড়িয়ে আছো
-আপু গো দেখো তোমার দেবর কত জনকে চিঠি লিখেছে
-এ কি অর্দ্র তুমি এটা কি করেছো
-ভাবি ভুল হয়ে গেছে ওরে একটু বুঝাও
-আমি কিছু জানিনা বাবা, তোমাদের ব্যাপার তোমরা বুঝো গা
বলেই ভাবি চলে গেল । কাজিন রা ও চলে গেল । এখন আমাকেই মেনেজ করতে হবে ।
.
Continue...
.
#অর্দ্র
3 Single Idiots
গল্পঃ #3_Singe_Idiots Part: 02 . লিখাঃ অর্দ্র . -তোদের দুইটারে কতবার বলেছি যে এইবার অন্তত ঝামেলা করিস না(অর্দ্র) -........ -কাজটা কে...
-
গল্প: অপূর্ণ ভালোবাসা . লিখা: অর্দ্র **** কালকে ফেসবুকে ঢুকেই দেখি একটা মেয়ের ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট সাথে একটা ম্যাসেজও..... -প্লিজ হেল্প মি...
-
গল্পঃ #জ্বিন_ধরছি পর্বঃ ০১ . লিখাঃ অর্দ্র . -এই ধরছি, ধরছি, সোনা এইবার তুমি কই যাবা । -এই হতচ্ছারা আমাকে বোতলে তুলছিস কেন, ছাড় আমাকে ...
-
গল্পঃ লাজুক ছেলে পর্বঃ ০৩ . লিখাঃ অর্দ্র . বাসায় এসে ভাবতে লাগলাম ডাইনী মেয়েটাকে নিয়ে কি গল্প লিখা যায় । অনেক ভেবেও মাথায় কিছু আসলো না ...