গল্পঃ #জ্বিন_ধরছি
পর্বঃ ০১
.
লিখাঃ অর্দ্র
.
-এই ধরছি, ধরছি, সোনা এইবার তুমি কই যাবা ।
-এই হতচ্ছারা আমাকে বোতলে তুলছিস কেন, ছাড় আমাকে
-তোমাকে তো ছাড়ার জন্য ধরিনাই
-তাইলে আমাকে দিয়া তুই কি করবি বাপজান
-বড়লোক হবার জন্য
-তুই বড়লোক হবি হ, আমাকে ছাড় বাপ
-তোমারে ছাড়লে তো আমি বড়লোক হতে পারমুনা
-আমি এখানে থাকলে তুই ক্যামনে বড়লোক হবি
-বর দাও
-কিসের বর দিমু
-৩ টা বর দিবা তুমি
-এটা আবার কি
-দেখো একদম চালাকি করবার চেষ্টা করবা না, আমি এত বোকা না
-তাই তো দেখছি
-তারতারি আমার তিনটা ইচ্ছা পুরণ করো
-ইচ্চা গুলো বল
-টাকা, অনেক টাকা
-তারপর
-গাড়ি আর বড় বাড়ি
-নেক্স্ট
-সুন্দরী নারী
-আগে কোনটা চাস
-টাকা চাই টাকা
-আচ্ছা শোন, তোদের গ্রামে একটা পুরনো রাজবাড়ি আছে না.?
-হু আছে, ভোরবেলায় ওটা অনেক লোকের উপকারে আসে
-শোন, ঐখানে দেখবি একটা রুম তালা বন্ধ, অনেক দিন আগের তালা তাই মরচে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে । টান দিলেই খূলে যাবে
-হু তারপর
-তারপর ওই রুমের এক কোনে দেখবি একটা সিন্দুক রাখা আছে
-ওখানেই আমার টাকা আচে
-তুই থামতো, খালি বেশি কথা বলিস তুই
-আচ্চা
-সিন্দুকটা সরিয়ে মেঝে কিছু দিয়ে খুরবি, তারপর বেরিয়ে আসবে রাশি রাশি টাকার বাক্স..
--সব টাকা আমার
-হু সব তোর, আর শোন, বাক্সের সাথে একটা করে সাপ বেরিয়ে আসবে । ভয় পাবিনা একদম । কিছু হবেনা । সাহস করে হাত দিবি দেখবি সব টাকা তোর হয়ে যাবে
-ও নিয়ে তোমাকে চিন্তা করতে হবেনা, এমনিতেই আমি অনেক সাহসী
হু, সাহসী হলেই পাবি ভিতু হলে পাবিনা
-হু কখন যাবো
-রাত ২ টার সময়
ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি ১:২৫ বাজে । ভাবলাম এক্ষুনি বেরিয়ে পড়ি ।
-আচ্ছা জ্বীন তাইলে আমি গেলাম ।
-বেষ্ট ওফ লাক
ওরেম্মা, জ্বীন দেখতেছি ইংরেজি ঝারতেছে । এ কি যুগ আইলোরে ।
বেরিয়ে পড়লাম রাজবাড়ির উদ্দেশ্যে । রাজবাড়ির কাছে এসে কেমন জানি ভয় লাগতে শুরু করেছে । বড়লোক হতেই হবে এই কথা ভাবতেই একটু সাহস সঞ্চিত হলো । সেই সাহস নিয়ে চললাম রাজবাড়িতে । রাজবাড়ির গেটে পা রাখতেই নিজে থেকে গেট টা খুলে গেল । আমার তো ভয় বাড়তে লাগল । এরকম ভৌতিক কান্ড ঘটার কথা ছিল না তো । কিন্তু এখন এসব ঘটছে কেন । কিসের যেন একটা আওয়াজ পেলাম । তাকিয়ে দেখি দোলনা দুলছে একা একা । আমার হার্ড তো বেরিয়ে যাবে । নেহাতই হাত দিয়ে ধরে রেখেছি না হলে এতক্ষন আমি ভুত হয়ে ওই দোলনাতে বসে থাকতাম ।
আওওও দোলনায় কে যেন বসে হাসতেছে । প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলাম । আমার হাটু কাপছে ।
-এ কি ! নাউযুবিল্লাহ, এটা কি হলো । আমার তো হিসি হইয়া গেছে । ছি ছি আমি এত ভিতু আগে জানতাম না । কত সাহসিকতার সাথে জ্বিন ধরলাম, আর এখানে এসে কারো হাসি শুনে হিসি হয়ে গেল । এই মুখ আমি কারে দেখামু । আল্লাহ আমারে সাহস দাও । আর এই কথা লিক হয়ে গেলে আমার মান সম্মানের দফা রফা হয়ে যাবে । .
এভাবে আর থাকা যাবেনা, বাসায় চলে আসলাম । ড্রেস চেঞ্জ করে জ্বিন বেটাকে ছোট্ট একটা বোতলে তুললাম
-আরে আরেহ কি করছিস, এত ছোট বোতলে থাকমু কেমনে
-আমি কিছু জানিনা, তোমার এভাবেই থাকতে হবে ।
-কেন
-এইবার তোমারে পকেটে করে নিয়ে যামু, আগের বার ভয়ে হিসি করে দিছি ।
-হাহা হা হা হা হা হা হা
বজ্জাত জ্বিনটার হাসি থামছেই না । থামলে থামুক না থামলে না থামুক আমি ওর পকেটে তুলে নিয়ে চললাম রাজবাড়িতে ।
দেখলাম গেট লাগানো, ধাক্কা দিলাম খুলতেছে না, আগের বার এমনিতেই খুলে গেছিলো । অনেক কস্টে গেট খুলে ভিতরে গিয়ে দেখি দোলনায় কেউ নাই । আর দোলনা দুলছে না । সব কিছু স্বাভাবিক লাগছে । প্রাসাদে প্রবেশ করলাম । অনেক গুলা রুম বাট কোন কোন রুমে আছে সেই গুপ্তধন । না পেয়ে উপর তলায় গেলাম । জ্বিন যেমন টা বলেছিলো তেমন একটা রুম পেলাম ।রুমের কাছে গেলাম । তালা টা টান দিতেই খুলে গেল । ভিতরে গেলাম । ওমা কি অন্ধকার । কিছু দেখা যাচ্ছেনা । ঘরের কোনায় কোনায় খুজলাম । এক কোনায় একটা বাক্স পেলাম । কিন্তু জ্বীন তো বলেছিল সিন্ধুক বাট এখানে তো বাক্স । মনেহয় জীন টা ভুল করছে । বাক্স টা সরিয়ে খুরপি দিয়ে খুড়তে লাগলাম । বাট এটা তো ছাদ । ইট পাথরের মেঝে । এটা খুরবো কিভাবো । বসে বসে অনেক্ষন ভাবলাম । তারপর হঠাৎ জ্বিনের কথা মনে হল । আরেহ জ্বীন তো আমার পকেটে আছে তাহলে এত চিন্তা কিসের ।
পকেট থেকে জ্বীনটাকে বের বললাম,
-মিথ্যুক
-কেন রে,
-খুড়তে পারছি না
-এই তুই কোথায় নিয়ে এসেছিস আমাকে
-কেন, রাজবাড়ীর দোতলায়
-হ্রামজাদা তুই দোতলার মেঝে খুড়বি কেমনে, যা নিচে যা । নিচে গিয়ে খোজ
.
জ্বীনের কথা শুনে নিচে নেমে এলাম । দক্ষিণ দিকে বারান্দায় আরো ২ টা রুম আছে সেগুলা দেখা হয়নি । তাই রুম দুটো দেখতে দক্ষিনের বারান্দায় গেলাম । জ্বীনের বর্ণনা মত রুম পেয়ে গেলাম । ভিতরে ঢুকে সিন্দুক সরিয়ে খুড়তে লাগলাম । একটু খুড়তেই একটা বাক্স বেরিয়ে এল । সাথে একটা ইয়া বড় সাপ । খুব ভয় পেয়ে গেলাম । জ্বিন বলল,
-ভয় পাসনা, হাত দিয়ে বাক্সটা নে
এদিকে ভয়ে আমার প্যান্ট ঢিলা হয়ে গেছে
-গলা শুকিয়ে গেছে । আর সাপটা ফোস ফোস করছে । যেন অনেক বছরের অনাহারী ।
সাহস করে বাক্সের দিকে হাত বাড়লাম । ওমনি সাপটা ফোস করে একটা ছোবল মারল । ভাগ্যিস হাতে লাগেনি । আমি উল্টা দৌড়াতে শুরু করলাম । আর থাকতে পারলাম না । হ্রামজাদা জ্বিন আমাকে মারার প্লান করছে । যে জোরে ছোবল মেরেছে আর হ্রামি জ্বিন টা বলছে কিচ্ছু বলবেনা । কত্তবড় বেইমান । প্রাসাদ থেকে বের হয়ে দেখি মেইন গেট টা নিজে থেকে আটকে যাচ্ছে।আমি প্রাণপণে ছুটতে লাগলাম।অবশেষে আমি পৌছার আগেই দরজাটা বন্ধ হয়ে গেল।আর আমি সজোরে গেটের সাথে ধাক্কা খেলাম । তারপর আর কিচ্ছু মনে নাই ।
.
সকালে চোখটা খুলে দেখি আমি আমার রুমে শুয়ে আছি । ঘুম থেকে জাগতেই জ্বিনের কথা মনে হল।পকেটে হাত দিয়ে দেখি নাই।সারা রুম খুজলাম কোথাও বোতল টা পেলাম না
আম্মু এসে বলল
-কি খুজছিস
-বোতল,জ্বীন টাকে ওই বোতলেই তুলে রেখছি
-জ্বীন বোতলে তুলবি কেমনে
-আরেহ, রাতে ধরেছি
-এই জন্যই সারারাত জ্বিন ধরছি জ্বিন ধরছি করছিলি
তার মানে আমি আমার রুমেই ছিলাম।আর আমি তাহলে স্বপ্ন দেখছি।উফফফ যদি সত্যি হতো তাহলে জ্বীনটা আমার কথা শুনতো
প্যান্টের দিকে তাকিয়ে দেখি এইরে কাম সারছি
গোসল করার জন্য বার্থরুমে গেলাম
.
বিঃদ্রঃ Just Fun
.
Continue..
.
#অর্দ্র
মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
গল্প: জ্বিন ধরছি / পর্ব: ০১
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
3 Single Idiots
গল্পঃ #3_Singe_Idiots Part: 02 . লিখাঃ অর্দ্র . -তোদের দুইটারে কতবার বলেছি যে এইবার অন্তত ঝামেলা করিস না(অর্দ্র) -........ -কাজটা কে...
-
গল্প: অপূর্ণ ভালোবাসা . লিখা: অর্দ্র **** কালকে ফেসবুকে ঢুকেই দেখি একটা মেয়ের ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট সাথে একটা ম্যাসেজও..... -প্লিজ হেল্প মি...
-
গল্পঃ #জ্বিন_ধরছি পর্বঃ ০১ . লিখাঃ অর্দ্র . -এই ধরছি, ধরছি, সোনা এইবার তুমি কই যাবা । -এই হতচ্ছারা আমাকে বোতলে তুলছিস কেন, ছাড় আমাকে ...
-
গল্পঃ লাজুক ছেলে পর্বঃ ০৩ . লিখাঃ অর্দ্র . বাসায় এসে ভাবতে লাগলাম ডাইনী মেয়েটাকে নিয়ে কি গল্প লিখা যায় । অনেক ভেবেও মাথায় কিছু আসলো না ...
Emperor Casino | Shootercasino
উত্তরমুছুনEmperor Casino is a great way to play casino games online without 1xbet korean registration 샌즈카지노 or download. Enjoy slots and table games. Play the most 제왕카지노 popular table games at our