শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৮

3 Single Idiots

গল্পঃ #3_Singe_Idiots
Part: 02
.
লিখাঃ
অর্দ্র
.
-তোদের দুইটারে কতবার বলেছি যে এইবার অন্তত ঝামেলা করিস না(অর্দ্র)
-........
-কাজটা কে করছে
-নীল(রাজ)
-আ আমার কি দোষ, আ আমি কি ক ক করছি(নীল)
-নাহ, আপনার কিচ্ছু করেননি, সব আমি করছি সব দোস আমার(অর্দ্র)
-আমি কি এ এ একা করছি না নাকি, রা রা রাজও তো বা বা বাড়িওয়ালার মেয়ের সাথে টা টা টাংকি মারছে, পার্থক্য শুধু এটা যে আমি ধ ধ ধরা খেয়েছি আর চা চা চা চালাকটা ধরা খা খা খায়নি(নীল)
-তোদের আমি কতবার বলেছি, অনেক কষ্টে এই বাসা পেয়েছি আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু করিসনা(অর্দ্র)
-স স স সব দোষ কি আমার নাকি আ আ আগের বার যে বা বাসা ছাড়া হয়েছিলাম তো তো তোর জন্যই তো, তু তু তুই তো বা বাড়িওয়ালার মেয়ের সাথে টাংকি মা মা মারছিলি(নীল)
-এঁহেম এঁহেম, থাক সেসব কথা এখন চল নতুন বাসা খুজতে হবে (অর্দ্র)
-আমি পা পা পারবোনা, তোরা যা (নীল)
-এখন তো কাজের সময়, এখন পারবিই না (অর্দ্র)
-হু তো তো রা যা (নীল)
-কেন পারবিনা
-ত ত তখন আমারে অ অ অনেক মারছিস গা ব্য ব্য ব্যথা করতেছে (নীল)
-শালারে ধরতো আরো কিছু মার দেই(অর্দ্র)
.
দিছি শালারে আরো কয়েকডজন মার ।

যাইহোক মাসের আর কয়েকদিন বাকি আছে, এরমধ্যে নতুন বাসা খুজতে হবে ।
বাসা খুজতে বেরিয়ে পড়লাম । বাট ব্যাচেলর দের কেউ বাড়িভাড়া দিচ্ছে না । অনেক চেষ্টা করেও একটা বাসা পেলাম না । অবশেষে একটা বুদ্ধি পেলাম । নীলকে বানালাম বোবা, আমি ল্যাংরা, আর রাজ কানা মানে অন্ধ ।
গেলাম নতুন একটা বাসাতে । কলিংবেল বাজাতেই একটা বয়স্ক মহিলা দরজা খুলে দিলো ।
-তোমরা কারা, কি চাও

কিছু না বলেই সবাই কান্না শুরু করে দিলাম ।
এই ছেলে তোমরা কাদছো কেন
-আমার মা ছিল, অনেক ভালোবাসতো, আমাকে ছেড়ে চলে গেল-অর্দ্র)
বলে আবার কান্না শুরু করে দিলাম ।
-এই অ্যান্টি মারা গেছে আমাদের বলিস নি তো(রাজ)
এই শালা দেখছি সব শেষ করবে । এখন কি বলব ।
-আমি আমার নিজের মায়ের কথা বলছি সৎমা না (অর্দ্র)
-আচ্ছা দাড়াও, তোমরা তো সাহায্য নিতে এসেছো, দেখি কতটুকু পারি
-না অ্যান্টি আমরা সাহায্য চাইনা, আমাদের একটা বাসা ভাড়া দিন আন্টি
-কিন্তু বাবা, আমি তো ব্যাচেলর ভাড়া দেইনা ।
-জানি অ্যান্টি আপনারা ব্যাচেলর ভাড়া দেন না, কিন্তু দেখেন আমরা তো আপনাদের মতো স্বাভাবিক মানুষ না, ও দেখেন জন্ম থেকেই অন্ধ, আমার পা দেখেন ঠিক মত হাটতে পারিনা, আর এ তো কথাই বলতে পারেনা (অর্দ্র)
-সরি, আমি না আসলে বুঝতে পারিনি
-আন্টি আপনি আমার মায়ের মত আপনাকে দেখে আমার মায়ের কথা মনে পড়ছে (রাজ)
-এই ছেলে তুমি নাকি চোখে দেখোনা, তাহলে কিভাবে বুঝলে আমি তোমার মায়ের বয়সী
-আন্টি আল্লাহ ওর চোখের দৃষ্টি দেননি ঠিকি বাট ওর মনের দৃষ্টি খুব প্রখর (অর্দ্র)
-ওহ,
-আন্টি আমরা জানি আপনার মেয়ে আছে, আমরা আপনার মেয়েকে মেয়ের দৃষ্টিতে দেখবো, এই থুক্কু
-

-না আন্টি, আপনার মেয়েকে আমরা বোনের দৃষ্টিতে দেখবো (রাজ)
-তুমি না চোখে দেখোনা, তাহলে বোনের দৃষ্টিতে দেখবে কিভাবে
-বোনের না আন্টি মনের দৃষ্টিতে (নীল)
-এই ছেলে তুমি না বোবা, তাহলে কথা বললে কিভাবে
-ও বলেনি আন্টি, আমি বলেছি (অর্দ্র)
-ওহ তাইতো বলি বোবা আবার কথা বলে কিভাবে
-আমাদের একটা বাসা ভাড়া দেন প্লিজ আন্টি
-আচ্ছা ঠিক আছে, তোমরা তাহলে উঠে পড়ো
-আর আন্টি, আমরা যে প্রতিবন্ধী এই কথা কাউকে বলবেন না
-কেন
-আমরা কারো করুনার পাত্র হতে চাইনা
-ও আচ্ছা ঠিক আছে
.
অনেক কস্টে বাসা টা মেনেজ করলাম ।
-

দেখ তোদের শেষবারের মতো বলতেছি, আর ঝামেলা করিস না বাপ
-কিসের ঝামেলা, কোনো ঝামেলা নাই (রাজ)
.
নতুন বাসাতে উঠে গেলাম । এখন একটু ঘুমানো দরকার । ঘুমিয়ে পড়লাম সবাই । ঘুমটা ভাঙলো কলিংবেলের আওয়াজ শুনে । রাজকে একটা লাথি দিয়া কইলাম, "যা দরজা খোল" । রাজ নীলরে একটা লাথি দিয়া তারে খুলতে বললো । নীল লাথি দেয়ার মতো কাউকে না পেয়ে বাধ্য হয়ে নিজেই দরজা খুলতে গেল । দরজা খুলতে খুলতে...
-এত স স সকালে কে ঘুমের বা বা বারোটা বাজাতে আসলো(নীল)
-এই ছেলে তুমি না বোবা, কথা বললে কিভাবে
-ব্য ব্য ব্য
-আমি নিজে শুনলাম কথা বললে
-ও বলেনি আন্টি, আমি বলেছি (অর্দ্র)
-তুমি বলেছো.? আমি ভাবলাম ও বলেছে
-আরে না আন্টি ও কিভাবে বলবে তো বোবা
-ব্য ব্য ব্য ব্য
-আন্টি আপনার ধারণা ভুল করার জন্য এখানে এলাম । এখানে আমি ছাড়া কেউ সত্যি বলেনা, এখানে আমি একমাত্র সত্যবাদী (রাজ)
-কি বলে এসব
-আন্টি ওর কথাই কান দিবেন না, ঘুম থেকে উঠে এসেছে তো তাই উল্টাপাল্টা বকতেছে
-ও, না নতুন এসেছো তাই খোজখবর নিতে এলাম ।
-ও তাহলে ভিতরে আসুন
-না তোমরা থাকো
বলে আন্টি চলে গেলো । উফফফফ হাফ ছেড়ে বাচলাম ।
-ওঈ শালা দেখে দরজা খুলবিনা.? আরেকটু হলেই তো ধরা খেতাম ।
--আ আমি কেমনে জানমু যে আন্টি আ আ আসবে.?
-থাক যা হবার হয়েছে
.
বিকালে নীল ছাদে বসে সংগীত চর্চা করছিল । এমন সময় একটা মেয়ের আগমন..
-আ আ আপনি কে.? এ এ এখানে কি কি কি করছেন.?
-ওইই, আ আ আপনি আমাকে ভ্যা ভ্যা ভ্যাঙ্গাচ্ছেন কেন.?
-আ আ আমি আ আ আপনাকে ভ্যাঙ্গাতে যাব কেন, আ আ আমর কি ঠে ঠে ঠে ঠে ঠে....
-ঠেকা.?
-হুম, ওটাই
-ওহ, তারমানে আপনিও আ আ আমার মতো
-হ্যা, আ আ আমিও আ আ আপনার...বাই দ্যা ওয়ে আ আ আপনি কে
-আমি নি নি নীল, নিচের ফ্র্যাটে ভাড়ায় এ এ এসেছি, আপনি কে.?
-আমি.? আপ আপ আপনি যেখানে দাড়িয়ে আছেন না.? সেই বা বা বাড়ির মালিকের মেয়ে । মেজো মেয়ে শৈমী ।
-ওহ
-এ এ একটা কথা জি জি জিজ্ঞেস করি.?
-না
-না করি
-আচ্ছা ক ক করেন
-আপনি কি সব সময় এ এ এভাবেই কথা ব ব বলেন নাকি আ আ আমার মতো স স সুন্দরী মেয়ে দেখলে এ এ ভাবে বলেন.?
-ও ও ওই, এটা আ আমার জ জ জন্মগত সমস্যা ।
-আচ্ছা গান গাচ্ছিলেন গান, আমি একটু শুনি
-আচ্ছা
.
সন্ধার পর রুমে আড্ডা দিচ্ছিলাম সবাই ।
-দোস্ত আমি তো পইড়া গেছি (রাজ)
-তো দেখেশুনে হাটবিনা.?(অর্দ্র)
-দুর শালা আমিতো প্রেমে পড়ে গেছি (রাজ)
-কি কস
-বিশ্বাস কর মামা, আমার দিকে এমন ভাবে তাকায়া আছিল, দিপিকা,ক্যাটরিনা সব ফেল ।
--হ, প্রতিবন্ধী দেখলে মানুষ এভাবেই তাকায় (অর্দ্র)
-ধেত, তুই সবসময় নেগেটিভ টা ভাবস
-যাইহোক, আমিও তো পড়ে গেছি মামা, তোদের ভাই, তোদের ভাইতো প্রেমে পড়ে গেছে রে (অর্দ্র)
-কস কি মামা
-হ
-এ এ এটা কেমনে স স সম্ভব(নীল)
-তোর আবার কি হলো
-আমিও তো প প পড়ে গেছি
-তোর সাথে আবার কে প্রেম করবে, তুইতো ঠিক করে কথা বলতেই পারিসনা (রাজ)
-তু তুই কি আ আ আমাকে ইনসাল্ট ক ক করার ট্রাই করছিস.?
-আরেহ না, ও ট্রাই করছেনা, ও তোকে ইনসাল্ট করেছে (অর্দ্র)
-আমরা তিনজন বাড়িওয়ালার তিন মেয়ের প্রেমে পড়ে গেছি.? তার মানে...
-তার মানে কি আমরা বাড়ির মালিক হতে চলেছি (অর্দ্র)
.
আড্ডা শেষে ঘুমি পড়লাম । পরদিন কলেজ গেলাম । এবং সন্ধায় আবারো আড্ডা...
-ওই গিটার দে
বলে নিলের হাত থেকে গিটার নিয়ে বাজাতে লাগলাম ।
-বাজাতে পা পা পারেনা অ অ অথচ গিটার হাতে কেন যে নেয় কি কি কিছুই বুঝিনা
-মনে সূখ থাকলে মামা, মনে সূখ থাকলে (অর্দ্র)
-ওই তোর মনে আবার কিসের সূখ
-আমি তো নাম্বার পেয়ে গেছি
-কার
-তোর কাকির নাম্বর
-ও ও ওর কাকির না নাম্বার দি দিয়ে তুই কি করবি
-আব্বে হালা আমি ওর কাকু ওর কাকির নাম্বার পাইছি
-ও আগে ব ব বলবি তো.
-হ
-আ আ আমিও তো ফেসবুক আ আ আইডি পাইয়া গে গেছি
--কি কস মামা সত্যি.?
-হ
-কিন্তু আমিতো কিছুই পেলাম না(রাজ)
-ছাগল, না পাঠা । পাঠা দিয়ে কখনো হালচাষ হয়না(অর্দ্র)
-তো তুই ক্যামনে পটাইলি(রাজ)
-সেদিন রিক্সা নিয়ে তোর জন্য অয়েট করতেছিলাম । তখন ওই মেয়েটা আসলো । আমি আমার রিক্সা তাকে দিয়ে দিলাম । তারপর আমাকে তার সাথে যেতে বলল । আমি প্রথমে না বললাম । বাট পরে ওর সাথেই গেলাম । তারপর নাম্বার নিলাম (অর্দ্র)
-শালা তুই মাইয়ারে পাইয়া আমারে ভুলে গেলি (রাজ)
-আরে তুই গেলে তো তোরে পাবো বাট মাইয়া গেলে কি মাইয়া পাবো.?
.
পরদিন কলেজ যাবো । রাজ রিক্সা নিয়ে নিচে অয়েট করতেছে । গিয়ে দেখি রিক্সা নাই..
-রিক্সা কই
-দোস্ত তোর মতো ট্রাই করতেছিলাম কিন্তু হলোনা
-মানে কি, মাইয়া রিক্সা নিয়া চলে গেছে.?
-হুম
-তোর রেখে চলে গেছে.?
-হ
-কিচ্ছু বলেনাই.?
-না
-থ্যাংক ইউ.?
-ওয়েলকাম
-ধেত শালা, থ্যাংকুও বলেনাই.?
-না
-আমি কিছু জানিনা, দুই মিনিটের মধ্য রিক্সা নিয়া আসবি, কই থেকে আনবি জানিনা
-দোস্ত চলনা তুইও
-পারুম না
-প্লিজ চল
-আচ্ছা ।
.
শালা এইবার ফেল মারলেও পরের বার ঠিকি পাস করছে । মানে এখন আমার তিনজন তিনটারে লাইন মারতেছি । সেদিন বিকালে সবাই ছাদে যে যার টারে নিয়া গল্প করতেছি । এমন সময়..
--বাহ, এমন দৃশ্য দেখা ও কি আমার ভাগ্য ছিল.?
সবাই থতমত খেয়ে গেলাম । তাকিয়ে দেখি বাড়িওয়ালী ।
-কানা কি করছে.? কানা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, আর বোবা.? সে তো কবিতা বলতেছে । আর লেংরা রিতিমতো ড্যান্স করতেছে (বাড়িওয়ালী)
-......
-তোমরা তিনজন এখুনি নিচে আমার সাথে দেখা করো
.
অবশেসে আবারো বাড়িহারা হলাম । আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দিল । বাড়িটাও হারালাম আবার গার্লফ্রেন্ড টাও হারালাম ।
.
যাইহোক, রাস্তায় তো আর থাকা যায়না, তাই নতুন বাসা খুজতে হবে । বের হলাম নতুন বাসা ভাড়ার খোজে....
.
----------সমাপ্ত----­-------
নীল ঘুড়ি
রূপকথার রাজকুমার
.
উৎসঃ নাটক
.
[বিঃদ্রঃ দেখে ভালো লাগলো তাই লিখলাম । কেউ কিছু মনে করবেন না প্লিজ । ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]

রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮

গল্পঃ পাবনার পাগলি / পর্বঃ ১৫

গল্পঃ #পাবনার_পাগলি
পর্বঃ ১৫ (শেষ পর্ব)
.
লিখাঃ অর্দ্র
.
সব কিছুই ঠিক ঠাক চলছে । নির্দিষ্ট সময় পর আমাদের ঘর আলো করে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নিলো ।
আমি অনেক হ্যাপি যা বলে বোঝাতে পারবো না । অর্দ্রীও অনেক খুশি । মোট কথা সবাই এই সংবাদ শুনে অনেক খুশি ।
.
-তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
-কেন
-আমাকে এতবড় একটা গিফট দেয়ার জন্য
-তোমাকেও এত্তগুলা থ্যাংকু
-কেন
-আমাকে একটা খেলার সাথী দেয়ার জন্য
ড্রয়িংরুমে সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছে । আমি আর অর্দ্রীও ওখানে গেলাম ।
-তো কি নিয়ে আলোচনা চলছে
-কি আবার, আমার নাতির নাম কি রাখবো সেটা নিয়ে
-আরেহ সেটা তো ঠিক করাই আছে (অর্দ্রী)
-ওমা তাই নাকি
-হুম
-তো কে ঠিক করলো
-আমি আর অর্দ্র
-কি নাম
-হিমু
-অনেক সুন্দর বাট কখন ঠিক করলে নামটা.??
.
অর্দ্রী সব বলে দিতে চাইছিলো । আমি ওর মূখ চেপে ধরে সাইডে নিয়ে এলাম ।
-আরেহ তুমি তো দেখছি
রেলগারির মত গড়গড় করে সব বলে দিবে
-বললে কি হবে
-বললে কি হবে মানে, আমরা ৫ বছর আগে এই নাম ঠিক করে রেখেছি, এটা বললে সবাই কি ভাববে
-ও তাইতো, এটা তো ভেবে দেখিনি
-হু ভাবা উচিত ছিলো
-হু
-ভুলেও কাঊকে এই কথা বলবা না
-আচ্ছা
.
.

আমাদের কথপোকথন টা মেঘা শুনতে পেলো । সাথে সাথেই হো হো করে হেসে উঠলো । আমি ইশারাতে মানা করার অনেক চেষ্টা করলাম বাট ও হাসতে হাসতে গিয়ে সবাইকে বলে দিলো । এটা শুনে সবাই সশব্দে হেসে উঠলো । আমি তো অনেক লজ্জা পেয়ে গেলাম । তাই আর সেখানে না গিয়ে রুমে চলে গেলাম ।
.
আমি রুমে এসেছি দেখে তারা সবাই আমার রুমে আসলো । ওই এক কথা নিয়ে হাসা হাসি করতে লাগল ।
তাদের হাসির তিক্ষ্ণ আওয়াজ টা সহ্য করতে পারছিলাম না । হাসতে মানা করলাম । বাট কে শুনে কার কথা । আমি আর সহ্য করতে পারছিলাম না । আমার মাথার মধ্যে অনেক ব্যথা করছে । অসহ্যনীয় যন্ত্রণা হচ্ছে । সহ্য করতে না পেরে নিচে পড়ে গেলাম । সাথে সাথেই সেন্সলেস ।
সবাই ধরাধরি করে জ্ঞান ফেরানোর অনেক চেষ্টা করলো । বাট পারল না । অবশেষে হাসপাতালে নেওয়া হল আমাকে ।
মাঝেমাঝেই আমার মাথাতে প্রচন্ড ব্যথা হয় । ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যায় । কিন্তু আজকে একদম সহ্য করতে পারিনি ।
.
জ্ঞান ফিরতেই দেখি সবাই অনেক কান্নাকাটি করছে
.
-আরে তোমরা কাদছো কেন
কেউ কিছু বলছে না শুধু কেদেই যাচ্ছে
কিছু না বলেই সবাই চলে গেলো । অর্দ্রী পাশে বসে কেদেই যাচ্ছে ।

-আরে আমার তো কিছু হয়নি কাদছো কেন
-তোমাকে ছাড়া আমি বাচবো প্লিজ আমাকে একা ছেড়ে কোথাও যেওনা
-আরে পাগলি তোমাকে ছেড়ে কোথায় যাবো
-জানি,আমাকে ছেড়ে দুরে চলে যাবে, তখন দেখে নিও আমিও আর থাকবো না
-কি সব উল্টপাল্টা বলছো
-কিছু না
বলেই কাদতে কাদতে চলে গেল ।
আজিব তো.! কেউ কিছু বলছেনা । সবাই শুধু কেদেই যাচ্ছে । আর কি সব উল্টপাল্টা কথা বলছে । নিজের প্রতি কেমন জানি সন্দেহ হতে লাগল । আমি নার্সকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে আমার । উনি যা বললেন তা শুনে মনে হল আমি বিদ্যুতের শক খেলাম । আমার নাকি ব্রেইন টিউমার অনেক আগে থেকেই । এখন নাকি আমি জিবনের শেষ স্টেপ অতিক্রম করছি ।
আমি এই কথা বিশ্বাস করতে পারছিনা । এটা কিভাবে হলো ।
একটুপর পরিবারের সবাই এলো ।
-বিদেশ থেকে নাকি ভালো ডাক্তার আসবে, আমরা চাচ্ছি তোর অপারেশন টা করাতে (বাবা)
-না বাবা, এখন আর অপারেশন করিয়ে কোনো লাভ নেই
-অনেক ভালো ডাক্তার প্লিজ না করিসনা বাবা
-কিন্তু আমি যতদিন বাচবো এভাবেই বাচতে চাই
-কিন্তু আমরা তোকে হারাতে চাইনা ।
-আচ্ছা তোমরা যা ভালো বুঝো তাই করো
তারপর বাবা অপারেশনে সব ব্যবস্থা করে ফেললেন ।
-
অনেক দ্রুত সবকিছুর ব্যবস্থা হয়ে গেলো । যত তারাতারি সম্ভব অপারেশন টা করানো হবে ।
দেখতে দেখতে দিনগুলো পার হয়ে গেল । আজ আমার অপারেশন করানো হবে । জানিনা বেচে থাকবো নাকি মরে যাবো ।
অপারেশন এর আগে সবাইকে দেখতে চাইছিলাম । হিমু কোলে নিয়ে অনেক আদর করলাম । বাবা মা ভাই সবাই গুড লাক বলে বাহিরে গেলো । অর্দ্রী শুধু কেদেই যাচ্ছে ।
-এই পাগলি কাদছো কেন
-আমার মন কেমন করছে, নিজেকে শান্ত রাখতে পারছিনা
-আরে কিচ্ছু হবেনা
-আমাকে ছেড়ে যেওয়া প্লিজ । আমি তোমাকে ছাড়া বাচবো না
-কোথাও যাবো না আমি ফিরে আসবোই
অর্দ্রী আমাকে ছেড়ে যেতে চাইছিলো না তবুও সবাই ওকে বাহিরে নিয়ে গেল ।
.
অর্দ্র কে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হলো । শুরু হলো অপারেশন । জানিনা পরিণতি টা কি হবে ।
বাহির সবাই আল্লাহর নাম করছে আর কেদেই যাচ্ছে । আল্লাহ কি এত গুলা মানুষের কান্নার আওয়াজ শুনছে না ।
অনেক্ষণ পর ডক্টর কে বাহিরে আসতে দেখা গেলো ।
অভ্র ডাক্তার কে জিজ্ঞেস করলো । কিন্তু ডাক্তার মুখ কালো করে জানালো । অপারেশন টেবিলেই অর্দ্রের মৃত্যু হয়েছে । সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে । কেউ কিছু বলতে পারছে না । সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো ।
অর্দ্রী কে কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না ।
আল্লাহ কেন এটা করল । কি ছিল তাদের অপরাধ ।
কিন্তু এটা তো মানতেই হবে যে যাবার সেতো যাবেই । নির্দিষ্ট সময়ে অর্দ্রের দাফন কাফন সম্পুর্ন করা হলো । সবাই তাকে হারিয়ে শোকাহত ।
.
আজ তিন দিন হলো অর্দ্রী কিছুই খায়নি । রুমের মধ্যে থাকে আর কি যেন বলে । এক সময় পাগলের মতো আচরন শুরু করে ।
.
অর্দ্রকে হারানোর শোকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে অর্দ্রী । প্রথমে অভ্র কে একদম সহ্য করতে পারেনা । আস্তে আস্তে সেটা সবার ক্ষেত্রে একই । সব সময় উদ্ভট আচরন করত থাকে । একসময় তাকে বাড়িতে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে । তাই তাকে চিকিৎসার জন্য পাগলাগারদে পাঠানো হয় ।
.
আল্লাহর কি নির্মম পরিহাস । অনেক ভালোবেসে অর্দ্র, অর্দ্রীর নাম দিয়েছিলো পাবনার পাগলি । সত্যিই সে আজ পাবনার পাগলি । আজ সেই অর্দ্রীর স্থান সত্যিই পাবনার পাগলারদে ।
আর হিমু এখন অভ্র আর মেঘার ঘরে বড় হচ্ছে । তাদেরকেই সে বাবা মা হিসেবে জানে ।
.
বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।
.
*******সমাপ্ত******
.
#অর্দ্র

শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৮

গল্প: পাবনার পাগলি / পর্ব: ১৪


গল্পঃ #পাবনার_পাগলি
পর্বঃ ১৪
.
লিখাঃ অর্দ্র
.
লং জার্নির পর বাড়িতে পৌছালাম । কত দিনের চেনা পরিবেশে ফিরে আসলাম । দুই দিনেই মন কেমন জানি আনচান করতেছিলো ।
এখন একটু ঘুমানো দরকার । সন্ধ্যা প্রায় হয়ে গেছে । তাই অর্দ্রী আর ঘুমাতে দিলো না । বলে কিনা একটু পর রাতে খাবার খেয়ে একবারে ঘুমাতে । আমিও অনিচ্ছা সত্ত্বে তার কথাতে সায় দিলাম । রাতে খাবার খেয়ে ঘুমাতে চলে গেলাম ।
কেমন লাগে বলেন । এখন আর ঘুম আসছে না ।
অর্দ্রী আসলো । মন টা আমার গান গাইতে শুরু করল
-"আজ মনে হয় চান্স আছে, আজ মনে হয়ে চান্স আছে"
-কোনো চান্স নাই
-আমি কি বলছি তুমি বুঝলা কেমনে
-তোমার ভেতরে সব কুবুদ্ধীই আমি বুঝি
-কিন্তু কেমনে
-এমনে
-যাইহোক চান্স নাই কেন
-কারণ আমরা এখন লেখাপড়া করছি, তুমি চাকরি পাবা তারপর ওকে
-না, আমি এসব বুঝিনা, একটা নির্দিস্ট সময় দাও
-নির্দিষ্ট সময় কেন
-কারণ যদি কখনো চাকরি না পাই তাহলে....
-আচ্ছা ৪ বছর পর
-আল্লাহরে এত্ত দেরি
-হু
-এতদিন তোমাকে ছাড়া দুরে থাকবো কি করে
-দুরে কে বললো, এই তোমার কত্ত কাছে তোমাকে জরিয়ে রেখেছি দেখছনা
-হু দেখছি
-আচ্ছা ঘুমাও বাবু
-আচ্ছা
ঘুমিয়ে পড়লাম...
-এভাবে রোজ রোজ ঝগড়া, অভিমান, রাগ, ভালোবাসা, খুনসুটির মধ্য দিয়ে আমাদের জীবন চলছিল ।
লেখাপড়া, রোজ একসাথে কলেজে যাওয়া, কলেজে গিয়ে ওর বান্ধবীর সাথে টাংকি মারতাম । এটা দেখে ও অনেক রেগে যেত । বাড়িতে এসে গাল ফুলিয়ে মুখ ভার করে বসে থাকতো । আমি তার রাগ ভাঙানোর বদলে আরো রাগিয়ে দিতাম । এতকিছু সহ্য করতে না পেরে বালিশে মুখ গুজে কান্না শুরু করে দিতো । এটা আমি একদম সহ্য করতে পারতাম না । বুকের মধ্যে জরিয়ে নিতাম ওকে । কেদে কেদে আমার শার্ট ভিজিয়ে দিতো । আর একরাশ অভিমান ভরা অভিযোগ করতো । কাদতে কাদতে বলতো তাই একটা কথাও স্পস্ট হতো না । আমি শুধুই হাসতাম ।
.
এভাবেই আবেগ, ভালোবাসা, খুনসুটি, রাগ, অভিমান, হাসি কান্না, ইত্যাদির মধ্য দিয়ে ৪ টা বছর কেটে গেল । এই ৪ বছর আমার জীবনে খুবই সংক্ষিপ্ত ছিল ।
কিভাবে এতটা সময় কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না ।
.
অফিসে বসে আনমনে এসব ভাবতেছিলাম ।
আমার কলিগ রাফি কখন যে এসেছে বুঝতেই পারিনি । আমি আনমনে বসে আছি দেখে সে আমাকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বল্ল,
-অর্দ্র সাহেব আপনার ফোনটা বাজছে
তার কথা শুনে যেন বাস্তবে ফিরে এলাম
-ও হ্যা
ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে মেঘার উৎকন্ঠা কন্ঠ শূনতে পেলাম ।
--হ্যালো ভাইয়া, তারাতারি আসো আপু অজ্ঞান হয়ে গেছে
-কিহ, কিভাবে
-পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে
-তারাতারি হাসপাতালে নিয়ে যাও, আমি আসতেছি
-আমরা যাচ্ছি তুমি তারাতারি আসো । 
কোনোকিছু না ভেবেই অফিস থেকে বেরিয়ে পড়লাম । 
আরেহ, আপনাদের তো বলাই হলোনা, ৬ মাস হলো মেঘা আর অভ্রের বিয়ে হয়েছে । 
হাসপাতালে এসে দেখি বাড়ির সবাই এসেছে । 
-কি হয়েছে
-চিন্তা করিস না
-চিন্তা করা লাগেনা, চিন্তা এমনিতেই হয় ।
.
একটুর ডাক্তার এসে যা বলল । সেটা শুনে এততা খুশি হয়েছি যততা খুশি আগে হয়নি । আমি বাবা হতে চলেছি । এতো মহা খুশির সংবাদ । 
.
অর্দ্রী কে নিয়ে বাড়িতে চলে এলাম । বাড়িতে আসার পর থেকে একটা কাজও করতে দিইনি ওকে । ওর এখন রেষ্ট দরকার । ও কেন কাজ করবে । 
রাতে খাওয়া দাওয়ার পর শুয়ে পড়লাম । 
-দেখো, এখন থেকে নিজের খেয়াল রাখবা
-হু
-ভারি কোনো কাজ করার দরকার নেই । যদি শুনি যে করেছো তাহলে তোমার খবর আছে
-ঠিক আছে মহারাজ
-আচ্ছা বলতো আমাদের ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে
-ছেলে
-আমারো তাই মনে হয়
-নাম কিন্তু আমি রাখবো
-কি নাম
-হিমু
-আর যদি মেয়ে হয়
-তাহলে হিমি
-কবে থেকে ঠিক করে রাখছো হু
-৪ বছর আগে থেকে
-কিহ,
-হু
-
-আমাকে আগে বলোনি কেন
-তোমাকে সারপ্রাইজড দিবো তাই
-তুমি খুব খারাপ
-কি বললি
-তুমি অনেক ভালো আমার বাবুর আম্মু
-এখন থেকে তুমি আমার কথা মতো চলবা, তা নাহলে আমরা মা ছেলে মিলে তোমাকে আচ্ছা মতো দিবো
-বললেই হলো, আমার ছেলে আমার পক্ষে
-জ্বি না স্যার, সে আমার পক্ষে
-কাভি নেহি, আমি আর হিমু মিলে রোজ বিকালে পার্কে গিয়ে টাংকি মারবো, আমার ছেলেকে সেইরকম জিনিস বানাবো
-কি বললা তুমি
-হ, আমার ছেলেকে বানাবো মেয়ে মারা কল
-এসব ঠিক না
-কি ঠিক না, কত্ত গুলা জিএফ নিয়া ঘুরবে, তুমি শুধু চাইয়া চাইয়া দেখবা, আমি হবো চিঠি আদান প্রদান কারি
-আমি এমন হতেই দিবোনা
-আমি দিবো, এতদিন মেয়েরা ছেলেদের ছ্যাকা দিছে আর আমার ছেলে সব মেয়েদের ছ্যাকা দিবে, তখন মেয়েরা সিগারেট খাবে, দারুণ হবে ব্যাপারটা তাইনা
-তুমি তো আসলেই একটা বদ পুলা
-আরেহ না, আমি হলাম ইজি বাপ আর আমার পুলা হলো বিজি পুলা, মানে ইজি বাপের বিজি পুলা
-হইছে, আপনার লেকচার এখন থামান, এখন ঘুমান
-আগে তুমি ঘুমাও
-আমার ঘুম আসছে না
-কেন
-জানিনা গো
-আসো তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিই
-আচ্ছা দাও
.
আমি ওর চুলে বিলি কেটে দিচ্ছি । ও কেমন ড্যাপড্যাপ করে তাকিয়ে আছে । 
-
-এইভাবে তাকিয়ে আছে কেন
-দেখছি
-কি 
-তোমাকে
-আমাকে দেখার কি আছে
-তোমাকে পেয়ে আমি অনেক সুখি
-আমিও
-আচ্ছা আমার যদি কিচ্ছু হয়ে যায়, তাহলে কি হবে
-থাপ্পড় দিয়া দাত ফালায় দিমু
-কেন
-কিছু হলে আগে আমার হবে তারপর তোমার
-নাহ, আগে আমার হবে, তোমাকে ছাড়া যে আমি বাচবো না
-মনে হয় আমি বাচবো 
-আচ্ছা আমারো কিছু হবেনা তোমারো কিছু হবেনা ঠিক আছে.?
-হু
-আমাকে একটু জরিয়ে ধরে ঘুমাও তো
অর্দ্রী কে বুকের মধ্যে লুকিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম । 
.
গর্ভবতী হবার পর থেকে সবাই অর্দ্রী কে অনেক বেশি কেয়ার করে । সব থেকে বেশি কেয়ার করে মেঘা । আমি অফিস গেলে অর্দ্রীকে খাওয়ানো । ওসুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে প্রায় সব কাজই মেঘা করে । 
.
অফিস থেকে ফিরে আমি যতটুকু পারি ওর যত্ন নিতে কোনো কমতি করিনা । আমি ওকে কাজ করতে বারণ করি তবুও ও আমি ফিরলেই বিভিন্ন টুকটাক কাজ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে । 
.
-এই আজকে আমাকে একটু কোলে নিবা
-এখন তো তুমি মুটকি হয়ে একেবারে নুনের বস্তা হয়ে গেছো
-কি বললা
-না কিছুনা
বলে অর্দ্রীকে কোলে নিয়ে ছাদে গেলাম । গল্প করতে করতে বলে গান শুনাতে । শুনলাম । একসময় ঘুমিয়ে পড়লো । আবার তাকে কোলে নিয়ে রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম...
.
-এইভাবে তাকিয়ে আছে কেন
-দেখছি
-কি 
-তোমাকে
-আমাকে দেখার কি আছে
-তোমাকে পেয়ে আমি অনেক সুখি
-আমিও
-আচ্ছা আমার যদি কিচ্ছু হয়ে যায়, তাহলে কি হবে
-থাপ্পড় দিয়া দাত ফালায় দিমু
-কেন
-কিছু হলে আগে আমার হবে তারপর তোমার
-নাহ, আগে আমার হবে, তোমাকে ছাড়া যে আমি বাচবো না
-মনে হয় আমি বাচবো 
-আচ্ছা আমারো কিছু হবেনা তোমারো কিছু হবেনা ঠিক আছে.?
-হু
-আমাকে একটু জরিয়ে ধরে ঘুমাও তো
অর্দ্রী কে বুকের মধ্যে লুকিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম । 
.
গর্ভবতী হবার পর থেকে সবাই অর্দ্রী কে অনেক বেশি কেয়ার করে । সব থেকে বেশি কেয়ার করে মেঘা । আমি অফিস গেলে অর্দ্রীকে খাওয়ানো । ওসুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে প্রায় সব কাজই মেঘা করে । 
.
অফিস থেকে ফিরে আমি যতটুকু পারি ওর যত্ন নিতে কোনো কমতি করিনা । আমি ওকে কাজ করতে বারণ করি তবুও ও আমি ফিরলেই বিভিন্ন টুকটাক কাজ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে । 
.
-এই আজকে আমাকে একটু কোলে নিবা
-এখন তো তুমি মুটকি হয়ে একেবারে নুনের বস্তা হয়ে গেছো
-কি বললা
-না কিছুনা
বলে অর্দ্রীকে কোলে নিয়ে ছাদে গেলাম । গল্প করতে করতে বলে গান শুনাতে । শুনলাম । একসময় ঘুমিয়ে পড়লো । আবার তাকে কোলে নিয়ে রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম...
.
Continue....
.
#অর্দ্র

3 Single Idiots

গল্পঃ #3_Singe_Idiots Part: 02 . লিখাঃ অর্দ্র . -তোদের দুইটারে কতবার বলেছি যে এইবার অন্তত ঝামেলা করিস না(অর্দ্র) -........ -কাজটা কে...